গত ০৪/০৫/২০২১ তারিখ সোমবার সুন্দরবনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় দশ একর বনভুমি।আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে পূর্ব শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভরানি এলাকায়।শনিবার ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। পায়ে হেঁটে দুই কিলোমিটার গভীর বনের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছান এবং পুড়ে যাওয়া সুন্দরবন ঘুরে দেখেন।
বিকালে সংবাদ সন্মলনে সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন,প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন রক্ষার জন্য মেঘা প্রকল্প গ্রহন সহ বন রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র,জলযানের ব্যবস্থা করেছেন।তাছাড়া বনরক্ষীদের ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।সচিব বলেন,আগামী শুস্ক মৌসুমের আগে ভরাট হওয়া ভোলা নদী সহ আশে পাশের ভরাট হওয়া নদী খনন করা হবে। আগুন যদিও লাগে যাতে সহজে নিভানো যায় তার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
ভরাট হওয়া ভোলা নদীর চরে দখল করে বাড়ি নির্মান যারা করেছে তাদের কি করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,নিয়ম অনুযায়ী নদী খনন করা হবে।বনে অবাধে প্রবেশ ঠ্যাকাতে কাটা তারের ব্যাড়াএবং ওয়াচ টাওয়ার নির্মানে দীর্ঘ সাত বছরে কেন বাস্তবায়িত হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা( ডিএফও)মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।ডিএফও বলেন গত বছর মন্ত্রণালয়ে পাঁঠানো হয়েছে।
সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বনকর্মী,ফায়ার সার্ভিস,কমিউনিটি প্যাট্রোলদল সহ স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান।কমিউনিটি দলের সদস্যদের আর্থিক বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
সচিবের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃরফিকুল্লাহ,খুলনা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসেম,বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিজাউল করিম,শরনখোলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন,শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ)জয়নাল আবেদীন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।